ধানখালী সোনাগাজী, হায়াতুন্নেছা এ্যান্ড আশ্রাফ একাডেমী
আমাদের স্কুলকে একটি আধুনিক (মডার্ন) স্কুলে রূপান্তর করতে হবে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনায় নিতে হবে শিক্ষাদান পদ্ধতি, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, শিক্ষক উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশ করা। নিচে কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হলো:
১. ডিজিটাল ও টেকনোলজিক্যাল উন্নয়ন।
১.১ প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে প্রজেক্টর/স্মার্ট বোর্ড স্থাপন করা।
১.২ কম্পিউটার ল্যাব আপডেট করা ইন্টারনেট সংযোগসহ।
১.৩ অনলাইন অ্যাসাইনমেন্ট ও রেজাল্ট ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ চালু করা।
১.৪ ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে অভিভাবক এবং স্টুডেন্টের সাথে যোগাযোগের বিকাশ করা।
১.৫ স্কুল এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা স্বার্থে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা।
১.৬ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষকদের অ্যাটেনডেন্স নেওয়া এবং স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অ্যাটেনটেন্স ব্যবস্থা করা।
১.৭ ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং অনলাইন লাইব্রেরি সুবিধা চালু করা।
১.৮ শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকলেও ক্লাসের ভিডিও বা রেকর্ডিং দেখতে পারবে।
১.৯ অনলাইন লাইব্রেরিতে ই-বুক, রিসোর্স এবং লেকচার নোট পাওয়া যাবে।
১.১০ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একজন শিক্ষককে অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।
২. শিক্ষক প্রশিক্ষণ।
২.১ শিক্ষকগণকে নিয়মিত মডার্ন টিচিং মেথডে (যেমন: প্রজেক্ট বেসড লার্নিং, ইনকোয়ারি বেসড লার্নিং) প্রশিক্ষণ দেওয়া।
২.২ ICT-তে দক্ষ করে তোলার জন্য ওয়ার্কশপ আয়োজন করা।
২.৩ শিক্ষকদের সময় মত স্কুলে আসা বাদ্যতামূলক করা।
২.৪ প্রত্যেক শিক্ষকদের টার্গেট অনুসারে কাজ করা টার্গেট অনুসারে বোনাস দেওয়া।
২.৫ নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক মূল্যায়ন করে পুরস্কার ও প্রমোশনের ব্যবস্থা।
২.৬ ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য, কিশোর মনস্তত্ত্ব, ও আচরণগত দিক বোঝার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া।
৩. ক্লাব ও সহ-পাঠ কার্যক্রম।
৩.১ সায়েন্স ক্লাব, আইটি ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, কালচারাল ক্লাব এবং স্পোর্ট ক্লাব চালু করা।
৩.২ মাসিক ভিত্তিতে সেমিনার, কুইজ, ওয়ার্কশপ বা প্রদর্শনীর আয়োজন করা।
৪. পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়ন।
৪.১ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ দেওয়া।
৪.২ বাগান, খেলার মাঠ, এবং লাইব্রেরি আধুনিকায়ন করা।
৪.৩ স্কুলের নিজস্ব লোগো এবং পতাকা তৈরি করা।
৫. ছাত্রদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশ।
৫.১ কাউন্সেলিং সেশন এবং নৈতিক শিক্ষা ক্লাস চালু করা।
৫.২ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে উৎসাহ দেওয়া।
৫.৩ ভালো কাজের উৎসাহ দেওয়া এবং পুরস্কৃত করা।
৫.৪ অত্যাধুনিক কমন রুমের ব্যবস্থা করা।
৬. অভিভাবক ও সমাজের সম্পৃক্ততা।
৬.১ অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত মিটিং এবং ফিডব্যাক নেওয়ার ব্যবস্থা করা।
৬.২ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলা।
৬.৩ কোন ছাত্র-ছাত্রী লেইট কিংবা না আসলে সাথে সাথে অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করিতে হইবে।
৭ অন্য উন্নয়ন এবং সংস্করণ।
৭.১ সকল অর্থনৈতিক ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা।
৭ ২ প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তার যার যার দায়িত্বে কর্মরত থাকা।
৭.৩ প্রতিষ্ঠানের সকলকে নিয়ে বাঁশরিক পিকনিক করা এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কোম্পানিতে ভ্রমন করা।
৭.৪ সকল শিক্ষকদের নিয়ে বাঁশরিক সেমিনারের ব্যবস্থা করা।
৭.৫ স্কুলের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য ডোনেশন এবং সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা।
৭.৬ পরীক্ষা সেন্টার আনা।
৭.৭ অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা রাখা বাহিরে এবং ভিতরে।
৭.৮ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা।
৭.৯ প্রতিষ্ঠানের নাম সুন্দর করে গেটের উপরে লেখা।
৭.১০ ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং অভিভাবকের পরামর্শক্রমে আরও অন্যান্য সংস্কার এবং উন্নয়ন করা হবে।